আজকে এই আর্টিকেলে আমরা জানবো পোল্যান্ড কেমন দেশ, পোল্যান্ড জনসংখ্যা কত, ধর্ম ও ভাষা সম্পর্কে।
পোল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশের মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। এর সরকারি নাম পোল্যান্ড প্রজাতন্ত। পোল্যান্ডের রাজধানীর নাম ওয়ারশ।
পোল্যান্ডের পূর্বে ইউক্রেন ও বেলারুশ, পশ্চিমে জার্মানি, দক্ষিণে চেক প্রজাতন্ত ও স্লোভাকিয়া, উত্তরে রাশিয়া, লিথুয়ানিয়া ও বাল্টিক সাগর অবস্থিত। বাল্টিক সাগরে পোল্যান্ডের সাথে ডেনমার্কের জলসীমান্ত রয়েছে।
পোল্যান্ডের আয়তন ৩,১২,৬৭৯ বর্গ কিলোমিটার। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী পোল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা ছিলো ৩৬.৮২ মিলিয়ন এর বেশি। এদেশের সরকারি ভাষা পোলীও এবং শতকরা ৯৮ শতাংশ মানুষ পোলীয় ভাষায় কথা বলে।
এছাড়া আরো বিভিন্ন ভাষার প্রচলিত আছে বেলারুশ, রোমানিয়া, জার্মান ও ইউক্রেনীয় ভাষা। তবে, আন্তর্জাতিক কাজে ইংরেজি ও রুশ ভাষা ব্যবহার করা হয়।
১৯৭১ সালে পোল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া ও অস্ট্রিয়া পোল্যান্ড অধিকার করে পোল্যান্ড রাজ্যটি ভাগ করে নেয়। তারপর প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর পোল্যান্ড আবার স্বাধীনতার স্বাদ পায়।
এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি আবার পোল্যান্ড দখল করে নেই। ১৯৮০ সালে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র গুলোতে প্রথম স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় পূর্ব ইউরোপ সোভিয়েত নিয়ন্ত্রণ ভেঙ্গে পড়ে।
১৯৮৯ সালে তৃতীয় পোলিশ প্রজাতান্তের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে পোল্যান্ড সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র থেকে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় প্রবেশ করে। এরপর ১৯৯৭ সালে দেশটি নতুন সংবিধান রচিত হয়।
পোল্যান্ড কেমন দেশ
পোল্যান্ডের সংস্কৃতি এক হাজারের বেশি পুরাতন। সমস্ত ইউরোপীয় সংস্কৃতির সাথে মিলেমিশে অন্য একটি চরিত্র গড়ে উঠেছে। সেই প্রচীন কাল থেকে পোলিশ শিল্পের বহুমুখীতা প্রকৃতিতে বিভিন্ন বিষয় অবদান রেখেছে।
পোল্যান্ডের বহু দর্শনীয় স্থান বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছে। এর মধ্যে টাট্রা পর্বত, ক্র্যাকও, ওয়ারজাওয়া, গেডেন্সক, আসচয়িটজ, চেজেস্টচওয়া ইত্যাদি টুরিস্ট স্থান গুলো অন্যতম।
বর্তমানে পৃথিবীর সব থেকে নতুন শহর এবং পুরাতন শহর যেটাই দেখতে চান পোল্যান্ড গেলে দেখতে পাবেন।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফির চেখে বিশ্বের সব থেকে ২৩ টি সুন্দরতম শহর গুলোর মধ্যে পোল্যান্ড স্থান করে নিয়েছে। আপনারা যারা ইউরোপের দেশ গুলো ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই পোল্যান্ড যেতে পারেন।
পোল্যান্ডের ৮৭ শতাংশ মানুষ খ্রিষ্ট্রান ধর্মের অনুসারী। এছাড়াও পোলিশ অর্থোডক্সসহ অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। এদেশের অধিকাংশ মানুষ ফ্যাশান পছন্দ করে এবং এটি দেশটির জাতীয় পরিচয় বহন করে।